এই তিনটে সহজ টেকনিক ব্যবহার করে আমি যে কোনো সূরা ও দোয়া মুখস্ত করে থাকি কোনরকম আরবি ভাষা জানা ছাড়াই।
1. শ্রুতি : প্রথম যে টেকনিকটা আমি ব্যবহার করি সেটা হলো শ্রুতি টেকনিক অথবা শুনে শুনে মুখস্ত করা।
যে সূরা টা মুখস্ত করতে চায় সেটা YouTube থেকে সার্চ করে যার তেলোয়াত টা ভালো লাগে সেটা সিলেক্ট করে লুপে চালিয়ে দিয় । কাজের পাশাপাশি তেলোয়াত ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। এটার উদ্দেশ্য সাবকন্সিয়াস মাইন্ড অথবা অবচেতন মনের মধ্যে তেলোয়াতের রিদম বা ছন্দটা মনের মধ্যে সেট হয়ে যায় এতে সুবিধা হবে ব্রেনের মধ্যে একটা প্যাটার্ন সেট হয়ে যাবে, পরে যখন উচ্চারণ মুখস্ত করব এই প্যাটার্নের পছন্দের মধ্যে অটোমেটিক সেট হয়ে যাবে।
এই পদ্ধতিতে আমি শুধু ছন্দ ব্রেনের মধ্যে আনার চেষ্টা করি । সেই সাথে কোন স্পেসিফিক ওয়ার্ডের উচ্চারণ কেমন ভাবে হয় সেটাও বোঝার চেষ্টা করি যেটা বাংলা উচ্চারণের সাথে সম্পূর্ণ হয়তো মিলে না।
2. উচ্চারণ Breakdown ; ছবিতে যেমনটা দেখানো হয়েছে। প্রথমে সূরার বাংলা উচ্চারণ লিখে নিয়ে তেলাওয়াতের সঙ্গে বাংলা উচ্চারণের মিল যদি সম্পূর্ণ মিল না থাকে নিজের মত করে উচ্চারণের সাথে এবং তেলাওয়াতের সাথে কাছাকাছি যায় এমন বাংলা বা ইংরেজি শব্দ দিয়ে সেটা মেলানোর চেষ্টা করি। এতে করে আরবি সঙ্গে বাংলা উচ্চারণের সম্পূর্ণ মিল না থাকলেও কাছাকাছি যাই এমন শব্দ বা উচ্চারণ তৈরি করা সম্ভব হয় তেলাওয়াতের সাথে সেটা ম্যাচ করার জন্য।
3. Play in a loop: একবার উচ্চারণ এবং তেলাওয়াত সম্পূর্ণ বুঝে যাওয়ার পর অডিও লুপের মধ্যে চালিয়ে দিয়ে উচ্চারণ করে বারে বার সেটা পড়তে থাকি যতক্ষণ না মুখস্ত হয় সেই সাথে অন্যান্য কাজের সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে অডিও চলতে থাকে যাতে নিজের অজান্তে মনের মধ্যে তেলাওয়াত হতে থাকে এভাবে করে কয়েকদিনের মধ্যে একটা সূরা মুখস্ত করে ফেলি।
------------------------------
বড়ো সূরার ক্ষেত্রে -
Divide into multiple part: বড় সূরার ক্ষেত্রে একবারে যতটুকু মুখস্ত করার সম্ভব ততটুকু এডিট করে একটা বড় সূরা তিন চারটে পাটে ভাগ করি যতগুলো পার্টে ভাগ করলে সুবিধা হয়। এর পর 3নং পয়েন্ট টা ফলো করি।
এই টেকনিক ব্যবহার করে আমি এই পর্যন্ত নিম্নলিখিত সূরা ও দোয়া গুলি মুখস্ত করেছি-